মুফতি হারুন ইজহার, একজন প্রখ্যাত আলেম ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব, তিন দফায় গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত, তাকে বারবার গ্রেপ্তার, রিমান্ড এবং নির্মম নির্যাতন করা হয়।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বর আন্দোলন ও ২০২১ সালে মোদির বাংলাদেশ সফর বিরোধী আন্দোলনের সময় তাকে গুরুতর নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়। বিভিন্ন সময়ে র্যাব, ডিবি, এনএসআইসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা তাকে রিমান্ডে নিয়ে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি অভিযোগ করেন, রিমান্ডে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী কিছু ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল, যারা তাকে ভারতবিরোধী অবস্থানের জন্য বিশেষভাবে নির্যাতন করে।
রিমান্ড চলাকালীন তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিপীড়ন করা হয়। তিনি জানান, চোখ বেঁধে রেখে তাকে মারধর, ঘুমাতে না দেওয়া এবং বিষ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। কারাগারেও তাকে কঠোর লকআপে রেখে বেড়ি পরিয়ে নির্যাতন করা হয়।
হারুন ইজহার বলেন, সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন সংস্থা এবং মিডিয়া তাকে জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করে। এমনকি আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় বিচারকরা তাকে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে পূর্বনির্ধারিত বক্তব্য দিতে বাধ্য করেন।
এই সময়ে তার পরিবারও ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হয়। তিনি মনে করেন, তার ভারতবিরোধী অবস্থান ও রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।