দেশের রাজনৈতিক দলগুলো, ব্যবসায়ী সংগঠন, এবং আন্তর্জাতিক মহল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। বিশেষত, বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলো বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশৃঙ্খলা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছে।
এইদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে। তবে, বিএনপি ও অন্যান্য দল সংস্কার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত না করার আহ্বান জানাচ্ছে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সংস্কারের পক্ষে, তবে এটিকে দীর্ঘমেয়াদি না করার দাবি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহল দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচনের সময়সীমা উল্লেখ করলেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সরকারেরকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে বলে প্রায় সব পক্ষ একমত। তবে, দীর্ঘ বিলম্ব নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিতভাবে একটি সমাধান বের করে নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।