গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় শনিবার ভোরে চূড়ান্ত হয়। এটির ফলে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপটি ৪২ দিনের একটি প্রাথমিক বিরতির সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, যার মধ্যে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে নারী, শিশু এবং ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে, যেখানে অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তৃতীয় ধাপে মৃতদেহের ফেরত এবং গাজা পুনর্গঠন কাজের সূচনা হবে, যা মিশর, কাতার এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েল গাজা ও অন্যান্য অঞ্চলে ১৫ মাস ধরে ব্যাপক হামলা চালায়, যার ফলস্বরূপ ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে, অধিকাংশই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। লাখ লাখ মানুষ আহত এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী আশ্রয়ে জীবনযাপন করছে।