গণআন্দোলনের ভিত্তিতে প্রণীত জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অভিমত আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকের ধারাবাহিকতায় এই অভিমত আহ্বানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সুচিন্তিত মতামত আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে লিখিত আকারে জমা দিতে অনুরোধ করা হলো।”
সংগৃহীত মতামতগুলো বিশ্লেষণ করে দ্রুত একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জেএসডি, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবং গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল।
এছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় নাগরিক কমিটি, এবং অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন।
জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে উদ্ভূত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে। এসময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ২৯ ডিসেম্বর একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করে। পরে, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারের উদ্যোগে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাহাত্তরের সংবিধান সংশোধন বা প্রয়োজন অনুযায়ী নতুনভাবে প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।
এছাড়াও অভ্যুত্থানের সময় শহীদদের প্রথম গেজেট প্রকাশের বিষয়টি খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ একটি সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র তৈরি করে জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।