ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামীকাল রোববার থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী চুক্তির পক্ষে ভোট দেন, আর বিপক্ষে ভোট দেন আটজন। বৈঠকটি ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। চুক্তির ঘোর বিরোধিতা করেছেন কট্টরপন্থী মন্ত্রীদের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ।
বিবিসির এক সূত্র জানিয়েছে, কাতারে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার মাত্র ১০ মিনিট আগে পর্যন্ত এই আলোচনা চলতে থাকে। শেষ মুহূর্তে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়েছে।
এই চুক্তির ফলে গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত হবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪৬,৭৮৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
চুক্তির প্রথম ধাপে, ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময়ে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এরপর ১৬ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এই পর্যায়ে অন্যান্য ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়গুলো আলোচিত হবে।
তৃতীয় ধাপে, নিহত বন্দিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। এই পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালিত হবে মিশর, কাতার এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে।