“আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা, যার প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। এবারের মেলার উদ্বোধন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। মেলায় অংশ নিচ্ছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রকাশক, লেখক, বিক্রেতা ও পাঠক— সবার মধ্যে এক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্টল সাজানো হচ্ছে, বইয়ের মোড়ক খোলা হচ্ছে এবং দোকানিরা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। কাজের ক্লান্তি থাকলেও উদ্যম ও উৎসাহের কোনো কমতি নেই।
মেলা শুরু হওয়ার আগের দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি স্টলে কাজ করছিলেন হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নতুন বইয়ের গন্ধে মন ভরে উঠছে। ক্লান্ত হলেও উদ্যম হারাচ্ছি না।’ নতুন বই, নতুন স্বপ্ন, এবং ভাষার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বইমেলা প্রস্তুত।
এছাড়া, মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিন জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের কারণে মেলায় প্রবেশ ও বাহির পথে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মেলায় চারটি প্রবেশপথ থাকবে এবং খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দিকে থাকবে। শিশুদের জন্য আলাদা ‘শিশু চত্বর’ থাকবে, যেখানে তারা অবাধে ঘুরতে ও বই সংগ্রহ করতে পারবে।
এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছতলায় থাকবে। এবারের মেলায় শিশুচত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।”