১ ফেব্রুয়ারি রাতে হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ি রোডে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শামীম আহমেদ নামে এক আইনজীবীকে আটক করে গণধোলাই দেন। শামীম আহমেদ, যিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ছিলেন, তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় শামীম আহমেদকে মারধর করা হয় এবং পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নেয়।
শামীম আহমেদ আইন পেশায় থাকলেও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। খবর পাওয়ার পর, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শামীমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানিয়ে দেন যে, পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে।
এ ঘটনায় শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা বলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, স্থানীয়রা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন, এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছেন।
এই ঘটনার পর, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে, কারণ এটি শুধু একটি একক ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, বরং একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংঘর্ষের প্রতিফলন। পুলিশের তদন্ত এবং এর ফলাফলের দিকে এখন সবার দৃষ্টি।