লক্ষ্মীপুরে আদালত চত্বরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল সৃষ্টি হলে একজন যুবলীগকর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এটি ঘটে আজ রোববার দুপুরে জেলা জজ আদালতের প্রাঙ্গণে। চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামিদের বিচারকাজ চলাকালে আদালত প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মামলার আসামিরা শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে গ্রেপ্তার আসামিদের প্রিজন ভ্যানে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় আসামিরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে আদালত চত্বরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এই স্লোগান দেওয়া শুরু করে জামিনে থাকা আসামিরা ও তাদের সমর্থকরা, পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীও এ স্লোগান দেয়। স্লোগান দেওয়ার পর উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে দুইজনকে মারধর শুরু করে। এর মধ্যে পরান চৌধুরী নামে এক যুবলীগকর্মীকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
পরান চৌধুরী, যিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার সিরাজ চৌধুরীর ছেলে এবং যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে পরানকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। তাদের মতে, শেখ হাসিনার সরকারের সহযোগী ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে এবং এ ধরনের ঘটনা জাতিকে বিভক্ত করছে। তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, পরান চৌধুরীকে যুবলীগের লিফলেট বিতরণকালে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।