ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের তোড়জোড়, চাপে জেলেনস্কি!
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তার মাত্র একদিন লাগবে। এবার শোনা যাচ্ছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এই খবরে দুশ্চিন্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার আশঙ্কা, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা হলে তা মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে।
ইউক্রেনে নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র
চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে দ্রুত প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বিশেষ দূত কিথ কেলোগের মতে, বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হওয়া উচিত, যুদ্ধবিরতি না হলেও গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনেই ভোট হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর আগে বাইডেন প্রশাসনও নির্বাচন চেয়েছিল, কিন্তু জেলেনস্কি কৌশলে তা এড়িয়ে যান।
জেলেনস্কিকে সরানোর পরিকল্পনা?
মার্কিন কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পর গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কিকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব চায়। বিশ্লেষকদের মতে, যদি এমনটা ঘটে, তাহলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
রাশিয়ার ভূমিকা ও ইউক্রেনের শঙ্কা
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবেই ইউক্রেনে নির্বাচন করাতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ থাকলেও, ইউক্রেনে কী ঘটবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মার্শাল ল ও নির্বাচন বিলম্ব
২০২২ সালে ইউক্রেনে মার্শাল ল জারির কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। অথচ জেলেনস্কির মেয়াদ গত বছরই শেষ হয়ে গেছে। মার্কিন চাপ থাকলেও তিনি এখনো ভোট আয়োজন করেননি। তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, এবং ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নতুন মোড় নিতে পারে।
সংক্ষেপে: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের জল্পনা, ইউক্রেনে নির্বাচন চাপে ফেলেছে জেলেনস্কিকে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন নেতৃত্ব চাইলে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে