Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img
Homeবিশেষ সংবাদ৭০০ কোটির মালিক হওয়া সাবেক মুড়ি বিক্রেতা আবু বিমানবন্দরে আটক।

৭০০ কোটির মালিক হওয়া সাবেক মুড়ি বিক্রেতা আবু বিমানবন্দরে আটক।

সোনা চোরাচালান মামলার আসামি আবু আহমেদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের আলোচিত সোনা চোরাচালানি ও অর্থপাচার মামলার আসামি আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু বিদেশে পালানোর চেষ্টা করার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন। গতকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিমানবন্দর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

হত্যা মামলার আসামি সোনা আবু
আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ জানান, আবু আহমেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিদেশে পালানোর পরিকল্পনার খবর পেয়ে পুলিশ বিমানবন্দরে তাকে আটক করে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

মুড়ি বিক্রেতা থেকে সোনা চোরাচালানির উত্থান
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেওয়া আবু আহমেদ ১৯৯১ সালে শ্রমিক ভিসায় দুবাই পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে তিনি সোনা চোরাচালান ও হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন।

একটি সিআইডি ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে উঠে আসে, তার ৭২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য।

অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান
সিআইডির তদন্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রামে অর্থপাচার এবং সোনা ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে আবু আহমেদ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। তার সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে—
বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ভবন ও প্লট
দুবাইয়ে তিনটি দোকান
বাংলাদেশে ২১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেন

তিনি ফরহাদ ট্রেডিং, রিয়াল ট্রেডিং, নাইস টেলিকম সেন্টার, রুপা টেলিকমিউনিকেশনসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন।

সোনা চোরাচালানের ইতিহাস
২০১৪ সালে প্রথম সোনা চোরাচালানের মূলহোতা হিসেবে আবু আহমেদের নাম আলোচনায় আসে।

প্রথম চালান: ১০৫ কেজি সোনা উদ্ধার (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)
দ্বিতীয় চালান: ৫২৫টি সোনার বারসহ বিপুল সৌদি মুদ্রা

তৃতীয় চালান: ৬১ কেজি সোনা (নয়াপল্টন, ঢাকা)

এ ঘটনায় ঢাকা বিমানবন্দর থানা ও পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

সিন্দুকভর্তি সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার
২০১৬ সালে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেট থেকে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে তিনটি সিন্দুকভর্তি বিপুল পরিমাণ সোনা ও টাকা উদ্ধার হয়।

২৫০টি সোনার বার
৬০ লাখ টাকা

এই ঘটনায় আবু ও তার ম্যানেজার এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

আটকের পর কী হবে?
আবু আহমেদ একাধিক মামলার আসামি এবং দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। এবার তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সোনার চোরাচালান ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে আরও কঠোর অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments