যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর বিমান ব্যবহার করে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপের অংশ। এই সামরিক পরিবহণ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দূরবর্তী গন্তব্যে অভিবাসীদের পাঠাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ৩ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি জানান, সি-১৭ সামরিক বিমানটি ২৪ ঘণ্টায় ভারত পৌঁছাবে।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসী ফেরত পাঠাতে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়, সামরিক বিমান ব্যবহার করা হয় এবং কিছু অভিবাসীকে সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হয়।
অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করা ব্যয়বহুল হলেও, এটি কার্যকর হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে গুয়েতেমালা, পেরু, ও হন্ডুরাসে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য একই ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছিল। তবে, রয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক একটি সামরিক বিমানে এক জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে অন্তত চার হাজার ৬৭৫ ডলার খরচ হচ্ছে।
পেন্টাগনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে টেক্সাসের এল পাসো ও ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোতে পাঁচ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর জন্য সামরিক বিমানের ফ্লাইট শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া, সামরিক বাহিনীর বিমানে অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী নীতির একটি কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এই উদ্যোগের খরচ বেশি, তবে সরকার এটি একদিকে যাত্রীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে।
মার্কিন প্রশাসন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী করতে চাচ্ছে।