অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে এক অভিযানে গাজীপুরে ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এই অভিযানটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকার আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা। ওই হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন, যার মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পরপরই সারা দেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয় এবং গাজীপুরে ৫টি থানার আওতায় অভিযানে ৪০ জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানায় এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এরই মধ্যে, গাজীপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয় এবং সেনাবাহিনী টহল শুরু করে। একই সময়ে, এক ছাত্র আন্দোলনের কর্মীকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ ওই ছাত্র আন্দোলনের সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে, মাসকটে ম্যারাথনের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় গাজীপুরের দুই দলের টিম বাসও আটকা পড়েছিল, যার ফলে নির্ধারিত সময়ে খেলোয়াড়রা মাঠে আসতে পারেনি। সেজন্য ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয় এবং দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।