প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবী নেতারা
৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে আলোচনা করবে।
সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক আসাদুল ইসলাম। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করা হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কোন দাবিগুলো আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে?
প্রতিনিধি দলের মূল দাবি দুটি—
৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দ্রুত বাস্তবায়ন
নবম পে-স্কেল চালু করা
এছাড়া, সরকারি চাকরিজীবীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—
পে-কমিশন গঠন করে নবম পে-স্কেল ঘোষণা
বেতন স্কেলের পার্থক্য নিরসন ও গ্রেড সংখ্যা কমানো
১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পে-কমিশনে প্রতিনিধি রাখা
৬ হাজার টাকা অন্তর্বর্তীকালীন মহার্ঘ ভাতা প্রদান
বেতন বৃদ্ধির শেষ ধাপে পৌঁছানো কর্মচারীদের বাৎসরিক বৃদ্ধি নিয়মিত করা
এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি এবং আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন
আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি
সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি না মানা হলে সারা দেশে কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ শেষে কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা করলে পুলিশ শাহবাগে তাদের আটকায় এবং জলকামান নিক্ষেপ করে।
সাক্ষাতে কারা থাকছেন?
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে অংশ নিচ্ছেন—
কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেস আলী
সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক
সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম
সহ-সভাপতি আশফাকুল আশেকীন
১১-২০ ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমান
সম্পাদক মাহমুদুল হাসান
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম মিয়া
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির নেতা রফিকুল আলম ও সালজার রহমান
সরকারি চাকরিজীবীদের দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার ফলাফল কী হয়, সেটাই এখন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। দাবি পূরণ না হলে কর্মচারীরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।