আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও, দেশে বোতলজাত তেলের সংকট অব্যাহত রয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী দেশীয় কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের আমদানির পরিস্থিতি এবারের মতো ভাল হলেও বাজারে সমস্যা রয়ে গেছে, যা কিনা কৃত্রিম সংকট বা পাচারের আশঙ্কার ফলাফল হতে পারে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তেলের আমদানি প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু বাজারে তার সঠিক প্রভাব পড়েনি। একাধিক শীর্ষ ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীরা বৈঠকে জানান, তারা অতিরিক্ত তেল সরবরাহ করেছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মজুত এবং পাচারের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, পরিশোধন কারখানার মালিকরা অন্য পণ্য কেনার শর্তে তেল বিক্রি করছেন, যা আইনবিরোধী বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেল সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তদারকির ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও, তা সুনির্দিষ্ট হয়নি। বৈঠকে আরো জানানো হয়, প্রতিবেশী দেশে তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা রয়েছে, যার প্রতিরোধে সীমান্তে বিশেষ নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন। বাজারের তেল সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই, তবে কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের জন্য বোতল কেটে খোলামেলা তেল বিক্রি করতে পারেন।
রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রামের বন্দরে প্রায় দেড় লাখ টন তেল নোঙর করার অপেক্ষায় আছে, যা দ্রুত সরবরাহের জন্য প্রস্তুত। মোট দেশীয় ভোজ্যতেল চাহিদা বছরে ২৩-২৪ লাখ টন, তবে রমজানে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।