চীনে রেকর্ড কম বিয়ে, বাড়ছে বিচ্ছেদ—জনসংখ্যাগত সংকটে সরকার
চীনে ২০২৪ সালে বিয়ের হার রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে, যা দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জকে আরও গভীর করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র ৬১ লাখ দম্পতি বিয়ে নিবন্ধন করেছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০.৫% কম। ১৯৮৬ সালে পরিসংখ্যান প্রকাশ শুরুর পর এটি এক বছরে সর্বনিম্ন বিয়ের সংখ্যা।
কেন কমছে বিয়ে?
চীনের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিয়ে ও সন্তান ধারণে অনীহা তৈরি হয়েছে উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, ক্যারিয়ারের প্রতি ঝোঁক এবং সামাজিক পরিবর্তনের কারণে। সরকার তরুণদের বিয়ে ও পরিবার গঠনে উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নিলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না। এর ফলে জন্মহারও কমছে, যা দেশের অর্থনীতি ও শ্রমশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বেড়েছে বিচ্ছেদের হার
বিয়ে কমার পাশাপাশি ২০২৪ সালে বিচ্ছেদের হার বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ২৬ লাখ দম্পতি বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২৮ হাজার বেশি। যদিও সরকার ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের কুলিং-অফ পিরিয়ড চালু করেছিল, তবু বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে।
কী প্রভাব পড়ছে?
শ্রমশক্তির সংকট: কম জন্মহার মানে ভবিষ্যতে কম শ্রমিক, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি: কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর তুলনায় প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে, যা স্বাস্থ্য ও পেনশন ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
অর্থনৈতিক মন্দা: বিবাহ ও পরিবার গঠন কমার ফলে আবাসন, ভোগ্যপণ্য, এবং শিশুসংক্রান্ত শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে