বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ১১৯ জন কর্মকর্তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে ৫১ জন অতিরিক্ত সচিবের পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তিনি দাবি করেছেন যে, তার ব্যাচ থেকে ৫০ জন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, কিন্তু কেন তিনি বঞ্চিত হয়েছেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মাহবুব কবীর মিলন অভিযোগ করেছেন যে, ৫১ অতিরিক্ত সচিবের মধ্যে ৪৫ জন একই ব্যাচের। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে ছিলেন এবং পূর্ববর্তী সরকারের সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে প্রায় দেড় বছর ওএসডি অবস্থায় ছিলেন, এরপর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন। তিনি জানান, সরকারের কাছে তার দাবি হলো—এই ৫১ জন অতিরিক্ত সচিব কীভাবে বঞ্চিত ছিলেন এবং কিভাবে ১৯৮২ ব্যাচের ৪৫ জন কর্মকর্তা সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
তিনি অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবদের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি সরকার তার দাবি পূর্ণ না করে, তবে তিনি হাইকোর্টে মামলা করবেন এবং সেখান থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে চাইবেন।
এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, কারণ পদোন্নতির এই বিতর্ক সরকারি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং সঠিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে। রাষ্ট্রীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাচ ও নিয়োগের মাপকাঠি নিয়ে বিতর্কের ফলে সরকারি চাকরি সংস্করণে আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন।