বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের কক্ষে রোগী বের হওয়ার পর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলার মাধ্যমে এটি যাচাই করেন যে, ডাক্তার তাদের কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন কিনা। এভাবে বিভিন্ন সুবিধা এবং উপঢৌকন প্রদান করে ডাক্তারদের প্রমোট করার ফলে ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অনৈতিক লেনদেনের ফলে ওষুধের দাম বৃদ্ধি পায় এবং রোগীরা অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হন। এটি প্রমাণিত যে, ডাক্তারদের প্রমোশনাল সুবিধা বন্ধ করলে ওষুধের দাম ৩০% কমে যেতে পারে। এছাড়া, মেডিকেল কোম্পানির অনৈতিক উপহার ও স্পিড মানি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের বিপুল পরিমাণ খরচ বাড়ে, যা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়।
ওষুধের উৎপাদন খরচ ও বিপণন খরচের তুলনায় ৩০% পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এই প্রমোশনাল খরচগুলির কারণে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে ওষুধের দাম নির্ধারণ করলে এই অতিরিক্ত খরচগুলি কমিয়ে আনা সম্ভব।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওষুধের দাম কমানোর জন্য সরকারীভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি গঠন করা উচিত, যা কোম্পানির অতিরিক্ত দাম বাড়ানোর প্রবণতা রোধ করবে। যদি ওষুধ কোম্পানিগুলি নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করে এবং ডাক্তারদের কোনো অনৈতিক সুবিধা না দেয়, তাহলে ওষুধের দাম স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের উদ্যোগ এবং সঠিক নীতির মাধ্যমে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যা সাধারণ জনগণের জন্য সুবিধাজনক হবে।