Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পোস্ট-অপারেটিভ বিভাগে বিড়াল এবং ছারপোকার উপদ্রব নিয়ে...

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পোস্ট-অপারেটিভ বিভাগে বিড়াল এবং ছারপোকার উপদ্রব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পোস্ট-অপারেটিভ বিভাগে সম্প্রতি বিড়াল ও ছারপোকার উপদ্রব এবং পরিবেশের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই হাসপাতালের তিনতলায় ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের পুরুষ রোগীদের জন্য পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০:৪৫ নাগাদ তিনটি বিড়াল ঘুরতে দেখা যায়। রোগী এবং তাদের স্বজনরা জানান, শুধু বিড়াল নয়, ছারপোকাও এ ওয়ার্ডে উপদ্রব সৃষ্টি করছে, যা রোগীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। সেখানে রোগীদের শোবার জন্য মেঝে ও দেয়াল অত্যন্ত নোংরা এবং পরিচ্ছন্নতা নেই। এক রোগীর স্বজন জানায়, “মেঝে এমন নোংরা, রোগীরা অসুস্থ হয়ে শুয়ে থাকে আর অপরিষ্কার পরিবেশ তাদের সুস্থতা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।”

এছাড়া, হকারদের অযাচিত উপস্থিতি এবং হাসপাতালের স্টাফদের অস্বাস্থ্যকর কার্যকলাপ পরিবেশের সমস্যা আরো বাড়িয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এক ভ্রাম্যমাণ চা-ওয়ালা চা বিক্রি করতে দেখা গেছে, যা স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন। এই ধরনের অব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে, কারণ পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে থাকা রোগীরা অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে এবং সঠিক পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, হাসপাতালের কর্মী সংকট এবং পরিচ্ছন্নতার অভাব বিষয়টি আরো ঘনীভূত হয়েছে। হাসপাতালের অধিকাংশ পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাইরের কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হলেও, তাদের বেশিরভাগ বেতন পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না এবং হাসপাতালের কর্মীদের সংখ্যাও অপ্রতুল। এর ফলে, ১,২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রায় ১,৭০০ রোগী ভর্তি থাকে, যা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।

এমন পরিস্থিতিতে, রোগী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান খান জানান, “অস্ত্রোপচারের পর রোগীর আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।” একইভাবে, হাসপাতালের জনবল সংকট এবং বেতন অপ্রাপ্তির বিষয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ।

এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানায়, রোগীর চাপ বেড়েছে কিন্তু জনবল বাড়ানো হয়নি। জনবল সংকট নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, তবে এখনও কোনো

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments