জাতিসংঘ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পুনর্গঠন এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জন্য প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। জাতিসংঘের মতে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে প্রথম তিন বছরে ২০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু করার জন্য এই অর্থ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে, যেখানে অবকাঠামো পুননির্মাণ, মানবিক সহায়তা, এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। ১৫ মাসের এই হামলায় প্রায় ৪৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখেরও বেশি মানুষ আহত হন। হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হন, এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যায়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক, তবে পুরোপুরি মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে জানা গেছে যে, পুনর্গঠন এবং সহায়তার জন্য ব্যাপক পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন।”
গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, এর স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এই অর্থের মাধ্যমে গাজার অবকাঠামো পুনর্গঠন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে। তবে গাজার ভবিষ্যত পরিস্থিতি নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা এবং সামরিক উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর।