বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলসেতু, যমুনা রেলওয়ে সেতু, পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর ট্রেন চলাচলের অবসান ঘটেছে। নতুন সেতুটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। যমুনা নদীর ওপর নির্মিত এই ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুর প্রথম দিকে একটি রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, যদিও ভবিষ্যতে দুটি লাইনে ট্রেন চলাচলের সুযোগ থাকবে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক মাসউদুর রহমান জানান, সেতুর দুটি রেললাইন দিয়ে একযোগে ট্রেন চলাচল শুরু হবে, তবে শুরুতে শুধু একটি রেললাইনে ট্রেন চলাচল করছে। এর আগে, যাত্রী ছাড়া কয়েকটি ট্রায়াল রান করা হয়েছিল। সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ১৮ মার্চ হবে, তবে এই সেতু এখন কার্যকরভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলযোগাযোগ প্রকল্প, যা রেলওয়ের জন্য একটি মাইলফলক। সেতুটির নির্মাণে মোট ব্যয় বেড়ে ১৬,৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা হয়েছে, যা পূর্বে ৯,৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ছিল। এই অর্থের মধ্যে ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ হিসেবে এসেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে, আর ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় উৎস থেকে যোগান দেওয়া হয়েছে।
এই সেতুর চালু হওয়ার ফলে দেশের রেলওয়ে যোগাযোগে ব্যাপক উন্নতি হবে এবং যাত্রীদের জন্য যাতায়াত আরও সহজ এবং দ্রুত হবে। নতুন সেতুর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে আরো গতি আসবে, বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে মালামাল পরিবহণে।