হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থেকে অতিরিক্ত কম বা বেশি হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৭২ বার হয়, তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে একটু কম বা বেশি হতে পারে। যদি হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে যায় এবং এই পরিবর্তন শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, তবে এটি “কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া” নামে পরিচিত। এই অবস্থাটি চিকিৎসার পরিভাষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেখানে হৃদপিণ্ডের সঙ্কোচন ও প্রসারণের স্বাভাবিক ছন্দ ভেঙে যায়।
কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়ার ধরণ: ১. ব্র্যাডিঅ্যারিদমিয়া: যখন হার্টরেট ৬০-এর নিচে চলে যায়, যা হার্ট ব্লকের সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশেষত ৬০ বছরের পর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ২. ট্যাকিঅ্যারিদমিয়া: যখন হার্টরেট ১০০-এর উপরে চলে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
যেসব লক্ষণ থেকে সতর্ক হওয়া জরুরি:
বুকের বাঁ দিকে চিনচিনে ব্যথা
বুক ধড়ফড় করা
শ্বাস নিতে অসুবিধা বা শরীরে অস্বস্তি
মাথা ঘোরা বা শরীর কাঁপা
অজ্ঞান হওয়া বা দুর্বলতা
এগুলোর কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সমস্যা নির্ণয়ের জন্য ইসিজি, হল্টার মনিটরিং, লুপ রেকর্ডার, ইকোকার্ডিয়োগ্রাফ এবং রক্ত পরীক্ষা করা যেতে পারে।
প্রতিকারের উপায়:
বুক ধড়ফড় হলে গভীর শ্বাস নিন এবং শান্ত থাকুন।
হালকা গরম পানিতে গোসল করুন বা পা ভেজানো শুরু করে ধীরে ধীরে মাথায় পানি দিন।
ভারী কাজ বা সিঁড়ি ভাঙা এড়িয়ে চলুন এবং শবাসনে শুয়ে থাকুন।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
যদি পরিস্থিতি গুরুতর হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মতো চিকিৎসা করলে ঝুঁকি কমে যায়।