হোয়াইট হাউসে একটি অনুষ্ঠানে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এর সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, এর পেছনে ছিল মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি বিতর্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, মেক্সিকো উপসাগরের নাম ‘গালফ অব মেক্সিকো’ না লিখে ‘গালফ অব আমেরিকা’ ব্যবহার করতে হবে। এই নির্দেশনার পর এপি তাদের প্রতিবেদনে মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং তাদের নিয়মিত নীতি অনুসারে পুরনো নামেই লিখেছিল।
এপির এই অবস্থানের জন্য সাংবাদিকটি হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি পায়নি। সাংবাদিকের নাম প্রকাশ না হলেও, তিনি পূর্বে হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন। আরও একটি ঘটনা ঘটে, যখন হোয়াইট হাউসের কূটনৈতিক কক্ষে অপর একটি অনুষ্ঠানে এপির আরেক সাংবাদিককেও প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এটি একে অস্বাভাবিক এবং নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুলি পেইস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার উপর হস্তক্ষেপ করছে, যা সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “গালফ অব মেক্সিকো” নামটি পরিবর্তন করে “গালফ অব আমেরিকা” নামটি ব্যবহার করতে হবে, যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানুষ আদতে এই পরিবর্তন মেনে নেবে না এবং ঐতিহ্যগত নামেই উপসাগরটি পরিচিত থাকবে।