আজ বুধবার, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার কচুক্ষেত, উত্তরা এবং আগারগাঁওয়ে র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে, সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সেখানকার ভয়াবহ অবস্থার বর্ণনা দেন এবং এটি ‘নৃশংস’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, “এটি আমাদের দেখা সবচেয়ে ভয়ংকর আয়নাঘর, যেখানে তিন ফুট বাই এক ফুটের সেলে বন্দী রাখা হয়েছিল, এবং দুই বিঘা জায়গায় টয়লেট রয়েছে, বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম বড় অর্জন হলো গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি।” মাহফুজ আলম জানান, সরকার গঠনের ১৯ দিনের মধ্যে গুম কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তারা নৃশংসতার বিবরণ সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, ২১ দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশনে সই করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আজ মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী হাসিনার নৃশংসতার নমুনাগুলি দেখতে পাবে, এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও শতাধিক নমুনা ছড়িয়ে আছে।”
গুম কমিশন ৬ মাস ধরে গুমের শিকারদের সাক্ষ্য সংগ্রহ ও তদন্ত করে গুমের স্থান, কাল ও সত্যতা নিরূপণ করেছে। এর ভিত্তিতে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, গুমের শিকার প্রতিটি মানুষের জন্য ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করাই গণ-অভ্যুত্থান সরকারের অঙ্গীকার।