পানিশূন্যতা: স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও প্রতিরোধের উপায়
শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতার ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে এবং তা প্রতিরোধের উপায় নিচে তুলে ধরা হলো।
পানিশূন্যতার লক্ষণ ও প্রভাব
মাথাব্যথা: শরীরে পানির অভাব হলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, যার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং মাথাব্যথা শুরু হয়। মাথাব্যথা হলে দ্রুত এক গ্লাস পানি পান করা উচিত।
শুষ্কতা: মুখ, ত্বক ও চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে পানি কমে গেছে। এ সময় কফি বা কোমল পানীয় পান না করে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত, কারণ এগুলো আরও পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে।
গাঢ় রঙের প্রস্রাব: প্রস্রাবের রং গাঢ় হলে তা নির্দেশ করে যে শরীর পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। তাই দ্রুত বেশি পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
অতিরিক্ত ক্ষুধা: পানিশূন্যতার কারণে শরীর মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ক্ষুধার অনুভূতি তৈরি করে। এটি ঠেকাতে প্রথমেই এক গ্লাস পানি পান করুন, এরপর যদি সত্যিই ক্ষুধা লাগে তবে হালকা খাবার খান।
হজমজনিত সমস্যা: পানির অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ঘন ঘন ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
ওজন বৃদ্ধি: শরীরে পানি কম থাকলে মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের অবশ্যই নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
সঠিক পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন
প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করুন।
খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে পানি পান করুন।
শরীরচর্চার পরপরই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অতিরিক্ত গরমের সময় ও শারীরিক পরিশ্রম করলে বেশি পানি পান করুন।
সতর্কতা: যদি দীর্ঘদিন ধরে পানিশূন্যতার সমস্যা অনুভব করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত পানি পান করুন এবং সুস্থ থাকুন!