বাংলাদেশের ২৪ সাংবাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক হাজার ২৬৮ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ব্যাংক হিসাবগুলোতে ৩০ কোটি টাকা জমা রয়েছে। এই তথ্যটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের ব্যাংক হিসাবগুলোতে, যেখানে মোট ১,০৪২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। শ্যামল দত্ত বর্তমানে কারাগারে বন্দি আছেন এবং তাকে গত বছর ময়মনসিংহ থেকে আটক করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মার ব্যাংক হিসাব থেকে, যেখানে ৫৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া, সমকালের সাবেক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের সাবেক হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডারের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ আরও বেশ কিছু সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের পরিমাণ অনেকেই অবাস্তব মনে করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিকের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর কাছে চিঠি পাঠায়। সম্প্রতি বিএফআইইউ এই সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে প্রদান করেছে, যারা এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মন্তব্য করেছেন যে, এ ধরনের অস্বাভাবিক আয় বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া, তিনি সাংবাদিকতা পেশার দলীয়করণ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন যাতে ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক কার্যকলাপ পুনরাবৃত্তি না ঘটে।