বাংলাদেশের তারাগঞ্জ উপজেলার নারীরা এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন, তাদের হাতে তৈরি জুতা ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হচ্ছে। ব্লিং লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড নামক জুতা কারখানা সেখানে দারিদ্র্য দূর করার মাইলফলক স্থাপন করেছে। গত কয়েক বছরে এই কারখানা স্থানীয় নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে, তাদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।
এটা সম্ভব হয়েছে দুই সহোদর হাসানুজ্জামান ও সেলিমের উদ্যোগে, যারা বিদেশে সফল ব্যবসা করার পর দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্লিং লেদার কারখানাটি এখন প্রায় ২,৮০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যার মধ্যে ৯০% নারী শ্রমিক। এই কারখানায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দিন-রাত জুতা তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানার শ্রমিকরা আজকাল নিয়মিত আয়ের সুবিধা পাচ্ছেন, আর তাদের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। যেমন, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মার্জিনা খাতুন, যিনি আগে ভিটেমাটি ছাড়া ছিলেন, এখন তিনি নিজের বাড়ি, জমি এবং গবাদি পশু পালন করছেন। মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করছেন এবং তার মতামতও এখন সংসারে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি নারী কর্মী নিয়োগ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৫০,০০০ জোড়া জুতা উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
এই উদ্যোগটি শুধু তারাগঞ্জ নয়, পুরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং নারীদের ক্ষমতায়নের একটি উদাহরণ।