বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যদি জাতীয় নির্বাচন আগে না হয়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছেন, “স্থানীয় নির্বাচন নয়, জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই আগে হতে হবে,” এবং এটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু ইলেকশন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার যদি অন্য কাজে গুরুত্ব দেয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তার মতে, গণতন্ত্র রক্ষা এবং জনগণের ভোটাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের একমাত্র দায়িত্ব হল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি বিগত ১৭ বছরের নির্বাচন পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু প্রক্রিয়া ছিল না এবং একতরফা নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে বিরোধী দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা এবং বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, একতরফা নির্বাচন চালানোর জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে, এমনকি তাদের মনোনয়নও গ্রহণ করতে দেয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, এমন পরিস্থিতি শুধু জাতীয় নির্বাচনেই হয়নি, স্থানীয় নির্বাচনে তাও হয়েছে। এতে বিরোধী দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, যাতে ভবিষ্যতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়