সুখী থাকার পাঁচটি সহজ অভ্যাস
আমাদের সুখ ও মানসিক প্রশান্তি অনেকাংশেই নির্ভর করে দৈনন্দিন কিছু সহজ অভ্যাসের ওপর। ছোট ছোট ইতিবাচক পরিবর্তন আমাদের জীবনকে আনন্দময় করে তুলতে পারে। জেনে নিন, সুখী ও প্রশান্ত জীবনযাপনের পাঁচটি কার্যকর অভ্যাস।
১. মনোযোগী জীবনযাপন
বর্তমান মুহূর্তকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করাই মনোযোগী জীবনযাপনের মূলমন্ত্র। অতীতের দুশ্চিন্তা ও ভবিষ্যতের ভাবনায় মগ্ন না থেকে বর্তমানের অনুভূতি, চিন্তা ও কার্যকলাপের প্রতি সচেতন থাকা জরুরি।
কীভাবে চর্চা করবেন?
খাবার খাওয়ার সময় স্বাদ, গন্ধ ও ধ্বনির প্রতি মনোযোগ দিন।
দৈনন্দিন কাজ যেমন গোসল, শরীরচর্চা ও ধ্যান করার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন।
স্মার্টফোন ব্যবহারে সংযমী হোন, কারণ এটি মনোযোগ নষ্টের অন্যতম কারণ।
২. কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্য
কাজ আমাদের সাফল্য ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এনে দেয়, কিন্তু নিরবিচারে কাজের চাপে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাই কাজ ও বিশ্রামের মধ্যে ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন?
কাজের ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নিন।
সপ্তাহে অন্তত একদিন বিশ্রাম নিন ও পছন্দের কাজ করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, যা আপনার শরীর ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখবে।
৩. ছোট অর্জন উদযাপন করুন
অন্যের প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে নিজের ছোট ছোট অর্জনগুলোকে অবহেলা করবেন না। নিজের প্রতিটি অগ্রগতি উদযাপন করুন, তা যত ছোটই হোক না কেন।
কীভাবে চর্চা করবেন?
কাজের একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং প্রতিটি ছোট সাফল্যকে গুরুত্ব দিন।
অফিসের একটি কাজ সফলভাবে শেষ করলে নিজেকে পুরস্কার দিন।
শখের বাগানে নতুন একটি ফুল ফুটলে সেটিও উদযাপন করুন।
৪. কৃতজ্ঞতার চর্চা
সুখী থাকার অন্যতম উপায় হলো জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা যা পেয়েছি, তা উপলব্ধি করাই প্রশান্তির চাবিকাঠি।
কীভাবে চর্চা করবেন?
প্রতিদিনের ছোট ছোট সুখের মুহূর্তগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
দিন শেষে নিজেকে ধন্যবাদ দিন এবং অন্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
যা নেই, তার জন্য দুঃখ না করে, যা আছে তা উপভোগ করুন।
৫. সংযতভাবে কথা বলুন
মুখের কথা যেন অন্যের জন্য কষ্টদায়ক না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কথার মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দিন।
কীভাবে চর্চা করবেন?
রুমি’র তিনটি নীতি অনুসরণ করুন:
এটি কি সত্য?
এটি কি প্রয়োজনীয়?
এটি কি সদয়?
অহেতুক সমালোচনা বা রূঢ় কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন, তবে সংযতভাবে।