প্রযুক্তি আজকাল দ্রুতগতিতে উন্নতি করছে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এক সময় যা কেবল কল্পনা মনে হতো, আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। মহান আল্লাহ যুগে যুগে তার বান্দাদের বিভিন্ন নিদর্শনের মাধ্যমে তার বড়ত্ব প্রকাশ করেছেন। কোরআনে বর্ণিত নবী-রাসুলদের মুজিজা ছিল এমন অলৌকিক ঘটনা, যা সে সময়ের মানুষের কাছে ছিল অবিশ্বাস্য। তবে আজকের উন্নত প্রযুক্তির যুগে আমরা বুঝতে পারছি, মহান আল্লাহ এসব ঘটনাকে কিভাবে বাস্তবায়িত করেছিলেন।
পবিত্র কোরআনে সুলাইমান (আ.)-এর মুজিজা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তিনি বাতাসকে অনুগত করেছিলেন, যা এক মাসের পথ সকালে এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করতে সক্ষম ছিল। এটি এখন সুপারসনিক ফ্লাইটের মাধ্যমে আমরা সহজেই বুঝতে পারি। মার্কিন নাসা এক্স-৫৯ নামক বিমান তৈরি করেছে, যা আট ঘণ্টার যাত্রাকে দেড় ঘণ্টায় পরিণত করতে সক্ষম। এই বিমান নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে মুহূর্তে পৌঁছাতে সক্ষম।
এছাড়া কোরআনে সুলাইমান (আ.)-এর জন্য গলিত তামার ঝরনার উল্লেখ রয়েছে, যা দিয়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের বস্তু তৈরি করতেন। বর্তমান যুগে ৩ডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে তামার মতো ধাতু ব্যবহার করে দ্রুত বস্তু তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। এআই রোবট এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি এই যুগে সুলাইমান (আ.)-এর মুজিজার মতো কাজগুলো সহজভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম।
কোরআনের এই অদ্ভুত নিদর্শনগুলো আজকের প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত, যা প্রমাণ করে যে কোরআন সব সময় আধুনিক ও চিরন্তন। মহান আল্লাহ আমাদের তার বাণী বোঝার এবং তা অনুসরণের তাওফিক দান করুন।