রোজার বাজার: কিছু পণ্যের স্থিতিশীলতা, তবে তেল ও মাংসে চড়া দাম
রোজার বাজারে সাধারণত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও এবার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। বিশেষ করে ছোলা, খেজুর, চিনি, ডাল ও বেসনের দাম তেমন বাড়েনি, যা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে। তবে মাছ, মাংস ও সয়াবিন তেলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, যা বাজারের ভারসাম্য নষ্ট করছে।
স্বাভাবিক রয়েছে কিছু পণ্যের দাম
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, রোজার বাজারে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে, যার ফলে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরে ছোলা, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও খেজুরের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ছোলা: ১১০-১২০ টাকা প্রতি কেজি
বেসন: ১২০-১৪০ টাকা প্রতি কেজি
সাদা চিনি: ১২০ টাকা প্রতি কেজি, লাল চিনি ১৪০-১৪৫ টাকা প্রতি কেজি
মুড়ি: ৮০ টাকা প্রতি কেজি
ডাল: ৬০-৮০ টাকা প্রতি কেজি
তেল ও মাংসে চড়া দাম
মাসব্যাপী চলমান সংকটের কারণে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম। এতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খোলা তেলের চাহিদা বেড়েছে।
বোতলের সয়াবিন তেল: ১৭৫ টাকা প্রতি লিটার
খোলা সয়াবিন তেল: ১৬৫-১৭০ টাকা প্রতি লিটার
পাম তেল: ১৫০ টাকা প্রতি লিটার
মাংসের বাজারেও ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি: ২১০-২৩০ টাকা প্রতি কেজি
সোনালি মুরগি: ৩৩০-৩৫০ টাকা প্রতি কেজি
গরুর মাংস: ৭৮০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি
খাসির মাংস: ১২০০ টাকা প্রতি কেজি
মাছের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি
ইলিশ (৫০০ গ্রাম): ১০০০ টাকা প্রতি কেজি
রুই মাছ: ৩৮০-৪৫০ টাকা প্রতি কেজি
গলদা চিংড়ি: ৭৮০-১২০০ টাকা প্রতি কেজি
কাতল: ৩৫০-৪২০ টাকা প্রতি কেজি
সরবরাহ সংকট ও বাজার পরিস্থিতি
সরকার নির্ধারিত দামে সুপারশপগুলোতে বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও কাঁচাবাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে সরবরাহ কম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ডিলারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না পাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে।
বাজারে পর্যাপ্ত আমদানির ফলে কিছু পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও তেল ও মাংসের দাম বৃদ্ধি ক্রেতাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে রমজানের সময় এ সংকট আরও বাড়তে পারে।