দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ‘ক্লাস্টার সংক্রমণ’ শনাক্ত
বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার সংক্রমণ প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছে, যা ভাইরাসটির স্থানীয় সংক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) জানিয়েছে, একই এলাকার পাঁচ ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে, যা একটি সংক্রমণ চক্রের অংশ হতে পারে।
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ: কী জানা গেছে?
২০২৩ সালে সংগৃহীত নমুনার পিসিআর পরীক্ষায় পাঁচজনের শরীরে জিকা ভাইরাস পাওয়া যায়।
আক্রান্তদের কেউই গত দুই বছরে বিদেশে ভ্রমণ করেননি।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।
জিকা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
জিকা ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়, যা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতোই সংক্রমিত হয়। তবে এটি যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে শিশুর জন্মগত ত্রুটি তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের ইতিহাস
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, ২০১৫ সালে ব্রাজিলে মহামারি ছড়ানোর আগেই বাংলাদেশে ভাইরাসটি সুপ্ত অবস্থায় ছিল।
প্রতিরোধ ও করণীয়
এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।
দীর্ঘ হাতা জামা পরিধান ও মশারি ব্যবহার করুন।
জ্বর, র্যাশ, চোখ লাল হওয়া বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।