মিল্টন সমাদ্দার, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এর চেয়ারম্যান, লাশ দাফনের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, জালিয়াতি ও মানব পাচারের অভিযোগে তদন্ত চলছে। ২০১৩ সালের ২ মে দৈনিক কালবেলা প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিল্টন ফেসবুকে ৯০০ জনের লাশ দাফন করার দাবি করেছিলেন, তবে বাস্তবে মাত্র ১৫০ জনের লাশ দাফন করেছেন। তিনি নিজের হাতেই রোগীদের অস্ত্রোপচার করতেন এবং ডেথ সার্টিফিকেট জাল করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
ডিবির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, মিল্টন সমাদ্দার ফেসবুকের ১ কোটি ৬০ লাখ ফলোয়ারকে ব্যবহার করে কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করতেন, কিন্তু আশ্রমের মানুষের চিকিৎসায় কোনো টাকা ব্যয় করতেন না। তিনি অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের ছবি ও ভিডিও তৈরি করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে, নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত করতেন।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মিল্টন এবং তার ম্যানেজার কিশোর বালার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মিল্টনের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার চার্জশিট ২০ মার্চ আদালতে উপস্থাপন করা হবে।