বাইডেনের কারণে আমেরিকার ডিমের বাজারে অস্থিরতা, মূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে ভোগ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ডিমের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরাসরি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন ক্ষমতায় এলে ডিমসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ট্রাম্পের প্রথম ভাষণ ও অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতিদ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম ভাষণ দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি তাঁর সরকারের নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, “আমার সরকার ৪৩ দিনের মধ্যে যা অর্জন করেছে, তা অনেক প্রশাসন ৪ বা ৮ বছরেও করতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রশাসন বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছে এবং নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের নীতি সুনিশ্চিত করেছে।
বাইডেনের নীতির সমালোচনাডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, “বাইডেন প্রশাসনের নীতির কারণেই আমেরিকায় ডিমের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এখন এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, তবে আমি কঠোরভাবে কাজ করছি এটি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। আমার লক্ষ্য হলো, আমেরিকাকে আবার সাশ্রয়ী করা এবং কর্মজীবী পরিবারের জন্য সহায়তা নিশ্চিত করা।”
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ট্রাম্পের পরিকল্পনাট্রাম্প বলেন, “আমেরিকান ড্রিম কখনো থেমে যাবে না। আমরা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গত ৬ সপ্তাহে আমি প্রায় ১০০টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছি এবং ৪০০-এর বেশি পদক্ষেপ নিয়েছি, যা আমাদের দেশে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনবে।”
সীমান্ত ও নিরাপত্তা নীতিট্রাম্প তাঁর ভাষণে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়েও জোর দেন। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সেনাবাহিনী ও সীমান্ত বাহিনী মোতায়েন করেছি অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। আমার প্রশাসনে সীমান্ত অতিক্রমের হার ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে কম ছিল। কিন্তু বাইডেনের শাসনে এটি ব্যাপকভাবে বেড়েছে।”
শুল্ক নীতি ও বাণিজ্য প্রসঙ্গে মন্তব্যট্রাম্প বলেন, “আমরা আমেরিকাকে আবার ধনী ও শক্তিশালী করতে চাই। অন্যান্য দেশ আমাদের ওপর যে শুল্ক বসিয়েছে, তার পাল্টা ব্যবস্থা আমরা নেব। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত, ব্রাজিলসহ অনেক দেশ আমাদের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। এখন আমাদের পালা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।”
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনামার্কিন খনিজ ও ধাতু শিল্প নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি শিগগিরই ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রে খনিজ ও দুর্লভ ধাতুর উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।”