অর্থপাচার মামলায় আপিলে খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করে।
এর আগে, ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত ২০১৩ সালে এই মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দিলেও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছিল। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট তার সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা ঘোষণা করে।
গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করায় আপিলের সুযোগ পাননি। তবে আদালত মামুনের আপিল মঞ্জুর করে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে এবং একইসঙ্গে তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, আপিল বিভাগ মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে কোনো অপরাধের উপাদান না পাওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা যুক্তি দেখান যে, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা গায়ের জোরে দেওয়া হয়েছিল।
২০০৯ সালে দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ ছিল, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগ রায়ে উল্লেখ করে, মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা বড় আইনি বাধাগুলোর একটি সরিয়ে দিলো। তবে সরকারপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি।