Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img
Homeবিশেষ সংবাদ১০ দিনে চার দফা ভূমিকম্প, বাড়ছে ঝুঁকির শঙ্কা।

১০ দিনে চার দফা ভূমিকম্প, বাড়ছে ঝুঁকির শঙ্কা।

দেশে ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি: বড় ঝুঁকির সতর্কবার্তা

মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দেশে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সর্বশেষ বুধবার বেলা ১১:৩৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা।

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পরিসংখ্যান

২৭ ফেব্রুয়ারি: নেপালের কোদারি, ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প।

২৬ ফেব্রুয়ারি: ভারতের আসাম, ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প।

২৫ ফেব্রুয়ারি: বঙ্গোপসাগর, ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প।

৬ মার্চ: ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত, ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প।

ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির ধারা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী:

২০১৭ সালে: ২৮টি ভূমিকম্প।

২০২৩ সালে: ৪১টি ভূমিকম্প।

২০২৪ সালে: ৫৪টি ভূমিকম্প, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছোট ও মাঝারি ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেড়েছে। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:

৮ বা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্প: ২৫০-৩০০ বছর পর ফিরে আসে।

৭ বা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্প: ১২৫-১৫০ বছরের মধ্যে ফিরে আসে।

বাংলাদেশের অতীত বড় ভূমিকম্প

১৭৬২: ‘গ্রেট আরাকান আর্থকোয়েক’, ৮.৫ মাত্রা।

১৮৯৭: আসাম ভূমিকম্প, ৮.৭ মাত্রা।

১৯১৮: সিলেট, ৭.৬ মাত্রা।

১৯৩০: আসাম, ৭.১ মাত্রা।

ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ক্ষতি ও প্রস্তুতি

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, ভূগর্ভে প্রচুর শক্তি জমা হয়েছে, যা সিলেটে ৭-৮ মাত্রার ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলে ৮-৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।

তবে, ভূমিকম্প মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি এখনও দুর্বল। নাগরিক সচেতনতা ও মহড়া না থাকায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সরকার, স্থপতি ও সাধারণ জনগণকে সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।*

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments