দেশে ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি: বড় ঝুঁকির সতর্কবার্তা
মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দেশে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সর্বশেষ বুধবার বেলা ১১:৩৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পরিসংখ্যান
২৭ ফেব্রুয়ারি: নেপালের কোদারি, ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প।
২৬ ফেব্রুয়ারি: ভারতের আসাম, ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প।
২৫ ফেব্রুয়ারি: বঙ্গোপসাগর, ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প।
৬ মার্চ: ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত, ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প।
ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির ধারা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী:
২০১৭ সালে: ২৮টি ভূমিকম্প।
২০২৩ সালে: ৪১টি ভূমিকম্প।
২০২৪ সালে: ৫৪টি ভূমিকম্প, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছোট ও মাঝারি ভূমিকম্পের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেড়েছে। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:
৮ বা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্প: ২৫০-৩০০ বছর পর ফিরে আসে।
৭ বা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্প: ১২৫-১৫০ বছরের মধ্যে ফিরে আসে।
বাংলাদেশের অতীত বড় ভূমিকম্প
১৭৬২: ‘গ্রেট আরাকান আর্থকোয়েক’, ৮.৫ মাত্রা।
১৮৯৭: আসাম ভূমিকম্প, ৮.৭ মাত্রা।
১৯১৮: সিলেট, ৭.৬ মাত্রা।
১৯৩০: আসাম, ৭.১ মাত্রা।
ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ক্ষতি ও প্রস্তুতি
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, ভূগর্ভে প্রচুর শক্তি জমা হয়েছে, যা সিলেটে ৭-৮ মাত্রার ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলে ৮-৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, ভূমিকম্প মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি এখনও দুর্বল। নাগরিক সচেতনতা ও মহড়া না থাকায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সরকার, স্থপতি ও সাধারণ জনগণকে সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।*