বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। সম্প্রতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, ছাত্রশিবির প্রতি দিন তিন লাখ টাকা গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ব্যয় করছে এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, শিবির এত টাকা কোথা থেকে উপার্জন করছে। এছাড়া, তিনি আরও বলেন, একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে, এই তথ্য তারা শিবিরের কাছে জানতে চান।
এমন পরিস্থিতিতে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে শিবিরের টাকার উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রশিবিরের আয়ের উৎস সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। তিনি বলেন, সংগঠনের কর্মীরা তাদের টিউশন ফি এবং জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করেন। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তাদের মায়েরা গলার হার, বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল দান করেন, এবং কর্মীরা নিজেদের বেতনের কষ্ট করা টাকা বিনা দ্বিধায় সংগঠনকে দিয়ে দেন।
রিয়াজুল ইসলাম আরও জানান, শিবিরের আর্থিক ব্যবস্থার একটি অংশ হল ‘বায়তুলমাল’ যা সংগঠনটির প্রত্যেক স্তরে বিদ্যমান। তিনি দাবি করেন, সংগঠনের আয় হয় কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, শিবিরের আয় ও ব্যয় সবই সংগঠনের উন্নতি এবং কার্যক্রমে নিবেদিত।
এ বিষয়ে, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শিবিরের আয় সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চেয়েছেন। তবে, রিয়াজুল ইসলামের এই ব্যাখ্যা থেকে পরিষ্কার যে, ছাত্রশিবিরের আর্থিক ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ এবং তাদের আয়-ব্যয়ের মূল উৎস তাদের কর্মীদের উৎসর্গ এবং দান।