মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী এবং এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার ধারণা, ইরান আলোচনা করতে চাইবে, কারণ এটি তাদের জন্য খুবই লাভজনক হবে।” ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে গভীর উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষ করে ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করে, তবে তা ইসরায়েল এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর জন্য বিপদজনক হতে পারে।
চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “ইরানকে সামরিকভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে, তবে একটি শান্তি চুক্তি করাই আমি পছন্দ করব, কারণ আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না। তারা চমৎকার মানুষ।” তিনি আরও জানান, চিঠিটি তিনি গত বুধবার পাঠিয়েছেন, তবে ইরান এখনো সেটি পায়নি বলে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ইরান মিশন জানিয়েছে।
এদিকে, ইরান চিঠির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে তার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের চিঠিকে “নাটকের পুনরাবৃত্ত প্রদর্শনী” বলে মন্তব্য করেছে। ট্রাম্প তার সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি আশা করেন, খুব শিগগিরই ইরানের সঙ্গে কিছু বড় পরিবর্তন হবে এবং “চূড়ান্ত মুহূর্তে” শান্তি চুক্তি করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “আমরা চূড়ান্ত মুহূর্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
এতদিন আগে, ২০১৫ সালে, ইরান ও ছয়টি বিশ্বশক্তি (যুক্তরাষ্ট্রসহ) পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যা ২০১৮ সালে ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে আসার কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী।
এই পটভূমিতে, রাশিয়া ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যা আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।