গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় অগ্রগতি: দোহায় প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে হামাস। এরই মধ্যে, কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
হামাসের দাবি ও আলোচনার গুরুত্ব
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মিসরের কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা গাজায় শর্তহীন মানবিক সহায়তার ওপর জোর দেয়। হামাসের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যেতে প্রস্তুত, কারণ এই আলোচনা সফল হলে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ খুলে দিতে পারে।
একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, হামাসের মূল দাবি তিনটি—
গাজা থেকে সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার
ফিলিস্তিনের ওপর আরোপিত অবরোধ সম্পূর্ণরূপে তুলে নেওয়া
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা
হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানুয়া জানিয়েছেন, তাদের দাবিগুলো ইতিবাচকভাবে গৃহীত হয়েছে।
ইসরায়েলের কৌশল ও যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, তারা কাতারের দোহায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে। তবে ইসরায়েল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি গত ১ মার্চ শেষ হয়। ওই সময়ে হামাস ২৫ জিম্মিকে জীবিত এবং আটজনের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ১,৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।