২০ মাসে সর্বনিম্ন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, তবে বাড়ছে ব্রডব্যান্ড সংযোগ
গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি কমেছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জানায়, জানুয়ারিতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেমে এসেছে ১১ কোটি ৬০ লাখে, যা ২০২৩ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমার কারণ
মোবাইল অপারেটরদের মতে, ইন্টারনেট গ্রাহক কমার পেছনে মূলত দুটি কারণ—
মূল্যস্ফীতি: টানা মূল্যস্ফীতির ফলে গ্রাহকরা একাধিক সিম ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন এবং ইন্টারনেট ব্যয়ে কাটছাঁট করছেন।
সিমের ওপর কর বৃদ্ধি: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সিম ট্যাক্স ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে, যার ফলে নতুন সিমের বিক্রি কমেছে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘নতুন সিম সাধারণত বেশি লাভজনক অফার দেয়, যা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। তবে সিমের দাম বাড়ায় অনেকেই নতুন সংযোগ নিতে আগ্রহী নন।’
মোবাইল সংযোগও কমেছে
শুধু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই নয়, জানুয়ারিতে সক্রিয় মোবাইল সংযোগের সংখ্যা নেমে এসেছে ১৮ কোটি ৬৫ লাখে, যা গত বছরের জুনে ছিল ১৯ কোটি ৬২ লাখ।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের উত্থান
যদিও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে, তবে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। জানুয়ারিতে দেশে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ, যা এক বছর আগে ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ।
মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা
২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি, যা ২০২৩ সালের জুনে ছিল ১৪ কোটি ২২ লাখ।
বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেট ব্যবহারের এই প্রবণতা পরিবর্তনের পেছনে অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং বাজারের কাঠামোগত পরিবর্তন বড় ভূমিকা রাখছে।