বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদল নিয়ে পোস্ট করায় ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে।
ঘটনার বিস্তারিত
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে একটি ভর্তিসংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। সভার খবর পেয়ে একদল শিক্ষার্থী বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন। সভা শেষে শিক্ষকরা বেরিয়ে গেলেও শহীদুল ইসলাম ভ্যানে করে নিজের বিভাগে রওনা হলে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দেন।
শহীদুল ইসলাম দ্রুত অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন, তবে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে গিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তিনি গাড়িতে করে ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও আন্দোলনের পটভূমি
শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনামূলক পোস্ট দেন, যা শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করে।
তিনি ২০২৩ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন এবং শাপলা ফোরামের মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
৭ মার্চ তিনি আরও উসকানিমূলক পোস্ট করেন, যা নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, শহীদুল ইসলামের বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আপাতত নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকবেন।
বিতর্কিত নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গ
৫ মার্চের এক প্রজ্ঞাপনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ পরিবারের নামে থাকা ছয়টি আবাসিক হল ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন নামকরণ করা হয় শাহ আজিজুর রহমান হল, যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিলেন এবং পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন।
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, যা আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।