পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩৬) মরদেহ তিন দিন পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। ৮ মার্চ, ২০২৫ তারিখে ভারতের ৪৬ ভাটপাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন আল আমিন। তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত আবালুপাড়া এলাকায়। স্থানীয়রা প্রথমে মরদেহ দেখে বিজিবিকে জানালে পরবর্তীতে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ওই বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো লাইনে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৪ এর ৭নং সাব পিলার এলাকায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ভারতীয় রাজগঞ্জ থানা পুলিশে পাঠানো হয় এবং পরে তা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
মরদেহ ফেরত দেওয়ার সময়ে ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার, বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থানার এসআই নরেশ চন্দ্র দাস, বিজিবি-বিএসএফ সদস্যরা এবং নিহত আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মঙ্গলবার রাতেই নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারটি পরে শামসুদ্দিন ও শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে মরদেহ গ্রহণ করে।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনার পর মরদেহ ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটে। এমনকি বাংলাদেশি পরিবারের জন্য এ সময় ছিল এক শোকের মুহূর্ত, কিন্তু তারা মরদেহের ফেরত পাওয়ার পর কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করেছে।