মহানবী (সা.) সাহরি গ্রহণে অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন এবং এটি তার নিয়মিত অভ্যাস ছিল। তিনি সাধারণত ভেজা খেজুর দিয়ে সাহরি করতেন, কখনো খেজুরের সঙ্গে দুধও গ্রহণ করতেন। সাহরি খাওয়ার সময় তিনি তা দেরিতে করতেন, সুবহে সাদিকের আগেই সাহরি শেষ হয়ে যেত। এক হাদিসে জায়েদ বিন সাবেত (রা.) বলেছেন, “নবীজি (সা.) সাহরি খেয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং সাহরি ও আজানের মধ্যবর্তী সময় ৫০ আয়াত তিলাওয়াত করার সমান ছিল।” এটি প্রমাণ করে যে, নবীজি (সা.) সাহরি শেষে কিছু সময় ধরে তিলাওয়াত করতেন এবং তারপর নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।
তিনি সাহরি খাওয়ার ক্ষেত্রে শুকনা খেজুরকে সর্বোত্তম মনে করতেন, যা তিনি বলেছেন আবু হোরাইরা (রা.)-এর বর্ণনায়। নবীজি (সা.) বলেন, “মুমিনের উত্তম সাহরি শুকনো খেজুর।” এছাড়া, সাহরি গ্রহণে দেরি করার গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেছেন, তিনি বলেছেন, “সাহরি বিলম্ব করা রোজার জন্য সহজ এবং রোজাদারের জন্য প্রশান্তিকর।” এটি তার রোজার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ এবং সঠিক সময় ব্যবস্থাপনার প্রমাণ।