Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের বিষয়ে ৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন গণ-অভ্যুত্থানের পর।

ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের বিষয়ে ৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন গণ-অভ্যুত্থানের পর।

বাংলাদেশের প্রায় ৭৬% জনগণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর, যেখানে ৫৯% উত্তরদাতা নয়াদিল্লির সঙ্গে নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ করেছেন। সেন্টার ফর অলটারনেটিভসের একটি জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে। জরিপে ৬১% উত্তরদাতা বলেছেন যে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নতির দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ৪৪% উত্তরদাতা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। জরিপের ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণ চীনকে একটি শক্তিশালী সহযোগী হিসেবে দেখতে চায়, বিশেষত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে।

জরিপে অংশ নেওয়া জনগণ চীনের সাথে বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ৯৯% উত্তরদাতা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে সমর্থন করেছেন, যা বাংলাদেশের জনগণের চীন সম্পর্ক নিয়ে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, চিকিৎসা সেবা এবং ব্যবসার জন্য আগ্রহী। জরিপে ৭৫% বাংলাদেশি চীনে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী এবং ২৯% চিকিৎসা সেবার জন্য চীনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন, যা ২০২২ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই জরিপটি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের বিষয়ে জনগণের মনোভাব ও আশা প্রকাশ করছে এবং দুই দেশের সম্পর্কের সামনের দিকে উন্নতি হওয়া নিয়ে স্বস্তি দিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তাদের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন এবং মিয়ানমারে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চীনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশের উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করবে।

জরিপের ফলাফলে স্পষ্টভাবে জানা গেছে, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে বাংলাদেশিরা আশাবাদী, এবং তারা চীনকে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সমর্থক সহযোগী হিসেবে দেখছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments