আগামী ১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য রেলের আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে, যা ১৪ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনে বিক্রি হবে। রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগের দিনগুলোতে ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে এবং একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে, ফিরতি যাত্রার টিকিট একবারেই কেনা যাবে এবং টিকিট বিক্রির পরে তা ফেরত নেওয়া হবে না। এছাড়াও, প্রতিটি ট্রেনের আসনের অতিরিক্ত ২৫% দাঁড়িয়ে ভ্রমণের (স্ট্যান্ডিং) টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
২০২৩ সালে রেলওয়ে মোট তিন কোটি ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ৪৩টি টিকিট বিক্রি করেছিল, যার মধ্যে ৬০% টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল। এবার ঈদে রেলের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য অনেক সুবিধা সৃষ্টি করবে। অনলাইনে টিকিট কেনার সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:
১. কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে ঘরে বসেই টিকিট কেনা।
২. ট্রেনের সময়সূচি, টিকিটের দাম, আসন ও অন্যান্য তথ্য সহজেই পাওয়া যায়।
৩. টিকিট কাটার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাউন্টার বন্ধ থাকার সমস্যা নেই।
৪. অনলাইনে টাকা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি যেমন ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা যায়।
৫. অনলাইনে কিছু ডিসকাউন্ট বা অফার পাওয়া যায় যা কাউন্টার থেকে পাওয়া যায় না।
তবে, অনলাইন টিকিটিংয়ের কিছু সমস্যা রয়েছে, যেমন সিস্টেমের স্থবিরতা, ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, এবং ভুয়া সাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা। এই ধরনের সমস্যাগুলি এড়িয়ে চলার জন্য সঠিক ওয়েবসাইট ব্যবহার, ভালো ইন্টারনেট সংযোগ এবং পেমেন্টের সময় সতর্ক থাকা উচিত।
তবে, রেলের সীমিত ট্রেন ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে সব যাত্রী অনলাইনে টিকিট কিনতে পারবেন না। সেই ক্ষেত্রে, বাস বা অন্যান্য বিকল্প পরিবহণ ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।