বাংলাদেশে সাংবাদিকদের জন্য শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব, এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যেসব পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা বা তার নিচে দেওয়া হবে, সেই সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার মতে, শ্রমিকরা যেমন নিজেদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে মজুরি বাড়ানোর জন্য সফল হয়েছে, তেমনি সাংবাদিকদেরও একটি ন্যূনতম বেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘৩০ হাজার বা ৪০ হাজার টাকা হতে পারে, এর নিচে কারো বেতন দেওয়া হলে সেই পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠানের কোনও প্রয়োজন নেই।’
বুধবার (১২ মার্চ) এক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম এসব মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা খুব কম বেতনে কাজ করছেন, যার কারণে অনেক মালিক এই পেশার দুর্বলতা কাজে লাগাচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বা সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে তাদের উচিত ছিল এই বিষয়ে অধিক আন্দোলন করা, যাতে সাংবাদিকদের জন্য একটি ন্যূনতম বেতন ফ্লোর প্রতিষ্ঠিত হয়।
শফিকুল আলম সাংবাদিকদের স্বীকৃতি এবং তাদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তার মতে, বর্তমানে সাংবাদিকতা একটি অত্যন্ত শোষিত পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে অনেক পত্রিকার মালিকরা সাংবাদিকদের অল্প বেতনে কাজ করানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর সাংবাদিকদের ৫ হাজার বা ১০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”
এছাড়া, তিনি সাংবাদিকদের আন্দোলন করার জন্য আরও আগ্রহী হতে বলেছিলেন। মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে গনঅভ্যুত্থানে তাদের অবদান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও রিপোর্টিংয়ের জন্য তাদের সাহসিকতাকে তিনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের কাজ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার এই মন্তব্যে সাংবাদিকদের মধ্যে এক নতুন আশা এবং সুশৃঙ্খল আন্দোলন গড়ার জন্য প্রেরণা সৃষ্টি হতে পারে, যা তাদের বেতন ও কাজের পরিস্থিতি উন্নত করতে সহায়ক হবে।