জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দিতে চায় এবং এই লক্ষ্য অর্জন করতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় মনোযোগী হয়েছে। দলটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের জন্য এক বিশেষ টিম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দলের নেতারা জানিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় কমিটি গঠনের লক্ষ্য রয়েছে। তবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়সীমা ২০ এপ্রিল, এবং এর মধ্যে শর্ত পূরণ না হলে সময় বাড়ানোর জন্য ইসির কাছে আবেদন করা হবে।
এনসিপি ২০২৫ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত, তবে দলটি এখনো সিদ্ধান্ত নেননি যে তারা এককভাবে নির্বাচনে যাবে, নাকি কোনো জোটে অংশ নেবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী শর্ত পূরণের জন্য প্রথমে তাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন এবং কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় দলীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেসব এলাকায় ২০০ জন ভোটার সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে।
দলটির সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে শর্ত পূরণের কাজ শুরু হয়েছে এবং ঈদুল ফিতরের পর পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা তাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশের সাড়ে চারশো নাগরিক কমিটির মধ্যে অধিকাংশকে দলীয় কমিটিতে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করছেন। দলের গঠনতন্ত্রও এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে ঈদের পর দলের দ্বিতীয় সাধারণ সভা আয়োজন করা হতে পারে যেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা কোনো শর্ত ছাড়াই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান এবং বর্তমান প্রক্রিয়াতেই শর্ত পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন। দলটি ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।