বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রায় এক ডজন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নতুন মুখ দেখা যাবে। বর্তমানে এমডি পদে যারা আছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই বয়সের কারণে পদত্যাগ করবেন, কিছু এমডি ইতিমধ্যেই অবসরে যাচ্ছেন বা বাধ্যতামূলক ছুটিতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তারা দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যাংকারদের খুঁজছেন, যারা ব্যাংকের ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে একাধিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হচ্ছে। আগের মতো প্রভাবশালীদের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তি এমডি পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ কমে গেছে। এখন এমডি হতে হলে ব্যাংকারদের যথাযথ অভিজ্ঞতা এবং ২০ বছরের চাকরি জীবনের পর ৪৫ বছরের উপরে হতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এমডি পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষারও প্রয়োজন হয়। আগের নিয়মে একবারে পাঁচ বছরের নিয়োগ দেয়া হতো, এখন এটি কমিয়ে তিন বছরে করা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এমডি পদে নিয়োগের জন্য আকাঙ্ক্ষা অনেক থাকলেও, এই পদে আসার জন্য ব্যাংকারদের কঠোর পরিশ্রম এবং সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। বর্তমানে বেশিরভাগ এমডি বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পদে আছেন। এসব ব্যাংকাররা উচ্চপদে কাজ করার জন্য খুবই আগ্রহী।
এছাড়া, কিছু ব্যাংক যেমন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকগুলো অনিয়ম ও দুর্বলতার কারণে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। এসব ব্যাংকে এমডিদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের স্থলে নতুন যোগদানকারী কর্মকর্তারা আসছেন। ব্যাংকগুলোর নতুন এমডি নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিরীক্ষা পরিচালনা করছে।
এভাবে, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকগুলোর এমডি পদে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে, যা ব্যাংক খাতের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।