চট্টগ্রামে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সাজ্জাদ, যিনি একসময় মুরগির দোকানে কাজ করতেন, পরবর্তীতে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। তার অপরাধজগতের সূচনা মুরগির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করার সময় থেকে, এবং একসময় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী হিসেবে তার পরিচিতি হয়। বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হামলা ও খুনের ঘটনায় তার নাম আলোচিত।
তামান্না শারমিনেরও অপরাধমূলক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ রয়েছে। তিনি ড্যান্সার হিসেবে দুবাইয়ে কাজ করতেন এবং সেখান থেকেই সাজ্জাদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০২৩ সালের দিকে তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়, এবং ২০২৪ সালের শুরুতে তারা বিয়ে করেন। তামান্না এর আগে আরও দুইবার বিয়ে করেছেন, কিন্তু সাজ্জাদ তার তৃতীয় স্বামী। বিয়ের পর তারা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন এবং সাজ্জাদ তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি, সাজ্জাদ ও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে গুলি করে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে, তারপর রাউজান এলাকায় পালিয়ে যায়। সাজ্জাদের গ্রেফতারির পর, তার স্ত্রী তামান্না ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দেন, জানিয়ে দেন যে, তারা অর্থের মাধ্যমে সাজ্জাদকে জামিনে মুক্ত করবে। সাজ্জাদ ও তামান্না পুলিশের কাছে ২০ লাখ টাকা অফার করলেও, পুলিশ তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
বিভিন্ন এলাকা যেমন বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এবং হাটহাজারীতে সাজ্জাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের চেষ্টায় অবশেষে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়।
এই ঘটনাগুলি চট্টগ্রামের অপরাধ দুনিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এটি পুলিশের কার্যকলাপের একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।