জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের সদস্যরা হামলা চালায়, যার ফলে ৯ জন শিক্ষককেও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। হামলায় পুলিশও সহায়তা করেছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা ছাত্রত্ব শেষ করেছেন, তাদের সনদ স্থগিত করা হবে। যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের ফলাফলও স্থগিত করা হবে। আর যারা নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন, তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে হামলার সাথে আরও কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করা হবে।
এছাড়া, হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান, যাদের পেনশন সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জুলাইয়ের রাতের হামলাকে ‘কালোরাত’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই রাতে ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালায়। এই হামলা আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সংঘটিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।