চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি: সিন্ডিকেটের কারসাজি নাকি চাহিদার প্রভাব?
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে জিরাশাইল, নাজিরশাইল ও কাটারি আতপ চালের দাম কেজিতে ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা ও মজুত বৃদ্ধির কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সিন্ডিকেটের প্রভাবও উপেক্ষা করার মতো নয়।
বাজার পরিস্থিতি
সোমবার (১৭ মার্চ) চট্টগ্রামের চাক্তাই ও পাহাড়তলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরাশাইল, নাজিরশাইল ও কাটারি আতপ চালের দাম বেড়ে গেছে। পাইকারি পর্যায়ে জিরাশাইল চাল গত সপ্তাহে ৭৬ টাকা থাকলেও এখন ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে নাজিরশাইল ৭৮ টাকা থেকে ৮৬ টাকা এবং কাটারি আতপ ৭৬ টাকা থেকে বেড়ে ৮৬ টাকায় উঠেছে।
এছাড়া পাইকারি বাজারে মিনিকেট সেদ্ধ চাল ৫৯ টাকা, মিনিকেট আতপ ৬৯ টাকা, পাইজাম সেদ্ধ ৫৮ টাকা, বেতি আতপ ৫৯ টাকা, মোটা সেদ্ধ চাল ৪৮ টাকা ও পাইজাম আতপ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দামের উর্ধ্বগতির কারণ
পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাইকারি ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, “উত্তরবঙ্গে চালের বড় ধরনের মজুত গড়ে তোলা হয়েছে, যার ফলে সিন্ডিকেট চালের দাম বাড়াচ্ছে।”
অন্যদিকে, আমদানিকৃত চালের সরবরাহ থাকলেও চিকন চালের দাম কেন বাড়ছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
খুচরা বাজারেও প্রভাব
পাইকারিতে দাম বৃদ্ধির ফলে খুচরা বাজারেও চালের দাম বেড়েছে। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৯২ টাকা, জিরাশাইল ৮৮ টাকা ও কাটারি আতপ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য চালের দামও বাড়তির দিকে রয়েছে।
সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভারত, মায়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৫ টন চাল আমদানি হয়েছে। কিন্তু এরপরও চালের দাম কেন বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “সরকার আমদানি করেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। সিন্ডিকেট বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে, তাই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”